শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
২ টাকায় কাঁঠাল, আমের কেজি ১ টাকা!

২ টাকায় কাঁঠাল, আমের কেজি ১ টাকা!

মাত্র দুই টাকায় পাওয়া যায় কাঁঠাল। প্রতি কেজি আমের দামও এক টাকার বেশি নয়। রসে ভরপুর টসটসে জাম মিলছে ৬ টাকা কেজি দরে। ভাদ্রের ফল তাল কেনা হয়েছে প্রতিটি ২ টাকায়। এমন আজগুবি আর ভুতুরে হিসেব শুধুমাত্র ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানার মৌসুমী ফলের গাছ ইজারার হিসেবেই দেখানো হয়েছে। ভাগ্যবান ইজারাদার কমদামে চিড়িয়াখানার ফল কেনার সুযোগ পেলেও খুচরা ক্রেতাদের চিড়িয়াখানার ভিতরে কিংবা বাইরে কিনতে হচ্ছে চড়া দামেই। নয়া দিগন্তের অনুসন্ধানে চিড়িয়াখানার এ বছরের দুই হাজারেরও বেশি ফলের গাছ ইজারা দেয়ার অন্তরালের ঘটনায় উঠে এসেছে ফলের মূল্যের এমন গরমিলের নানা তথ্য। ইজারাদারের কেনা ফলের দাম ও মোট ফল গাছের হিসেবেই এই অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরেই চিড়িয়াখানার ভিতরের বিভিন্ন ফলগাছের ইজারার সাথে জড়িত থেকে ব্যবসা করেন নাজমুল হোসেন রনি। চিড়িয়াখানার ভেতরের মসজিদের বাম পাশের টিনের চালা একটি খুপরি ঘরে রাখা কাঁঠাল, আম, জামসহ অন্যান্য ফলের হিসাব রাখেন তিনি। এখানকার প্রতিটি গাছের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক। কোন গাছের ফল ভালো, কোনটি মন্দ, এছাড়া কোন গাছের ফলন কেমন- সবই তার জানা আছে। তিনি জানালেন, চিড়িয়াখানার ভিতরে কাঁঠাল গাছ আছে এক হাজার ৮ শ’, আম গাছ আছে আড়াই শ’, তাল গাছ আছে ২৮টি আর জাম গাছ আছে ২২টি।

এবছর সবগুলো ফলের গাছের ইজারা নিয়েছেন জৈনিক ব্যবসায়ী আমির হোসেন আমু। এবছর দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে পরে অবশ্য আমু সাহেব থার্ট পার্টির কাছে ইজারার লাভসহ সমুদয় অর্থ নিয়ে গেছেন। এখান ইজারাদার বাইরের কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তারা সংখ্যায় দশজন। এদের মধ্যে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন রনি ও আবদুর রহিম।

চিড়িয়াখানার ফল সংগ্রহ ও বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত এমন একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়া দিন্তকে জানান, ফলগাছের দাম এ বছর মোট তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়া হলেও আমাদের হিসেব মতে শুধুমাত্র ১৮০০ কাঁঠাল গাছের জন্য মূল্য ধরা হয়েছে দুই লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি কাঁঠাল গাছের জন্য মূল্য দেয়া হয়েছে এক শ’ ১১ টাকা। আর প্রতিটি গাছে যদি গড়ে ৫০/৫৫টি কাঁঠালও ধরা হয় তাহলে প্রতিটি কাঁঠালের দাম ইজারাদার দিয়েছেন মাত্র ২ টাকা করে।

বাগানের ২২টি জাম গাছের ফলের জন্য মূল্য ধরা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি গাছের জন্য ধরা হয়েছে গড়ে ৩৬৩ টাকা। প্রতিটি গাছে মাত্র দেড় মণ (৬০ কেজি) জামের ফলন ধরা হলে প্রতি কেজি জামের দাম দেয়া হয়েছে মাত্র ৬ টাকা ।
চিড়িয়াখানার ভিতরের আড়াই শ’ আম গাছের সমুদয় আমের মূল্য ধরা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি আম গাছের মূল্য পড়েছে ৪৮ টাকা মাত্র। প্রতিটি গাছে গড়ে ২৪ কেজি আমের ফলন ধরা হলে প্রতি কেজি আমের দাম ইজারাদার দিয়েছেন মাত্র দুই টাকা করে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877